Site icon sangbadindia

Pimple’s Spot: ব্রণর দাগ মেটাতে ঘরোয়া টোটকাই যথেষ্ট, করতে হবে এই কাজ, ফিরবে ত্বকের স্বাভাবিক উজ্জ্বলতাও

Pimples Spot
Follow us on Google news Follow
Follow us on Facebook Follow
 Join our WhatsApp Channel  Join
Follow us on X Follow

Pimple’s Spot : বর্তমানে সকলেই নিজেদের ত্বক নিয়ে ভালোই সচেতন। ছেলে-মেয়ে নির্বিশেষে নানাভাবে নিজেদের ত্বকের যত নিয়ে থাকেন। তবে বর্তমানের কর্মব্যস্ত জীবনে সবসময় নিয়ম করে ত্বকের যত্ন নেওয়া সম্ভব হয় না। আর সেই কারণবশতই বিভিন্ন সময়ে ত্বকের নানা সমস্যা দেখা দিতে থাকে। তবে ব্রণর সমস্যা থেকে মুক্তি পেলও অনেকক্ষেত্রে ত্বকে দাগ থেকে যায়। আর সেই দাগ নির্মূল করে ত্বকের স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা ফিরে পেতে ঘরোয়া টোটকাই যথেষ্ট।

ছেলে-মেয়ে নির্বিশেষে প্রত্যেকের ত্বকের ধরন আলাদা হয়। কারোর ত্বকে তেলা ভাব থাকে, আবার কারোর শুষ্ক ত্বক। অনেকসময় অয়েলি স্কিনেই ব্রণর সমস্যা বেশি পরিমাণে দেখা যায়। ধীরে ধীরে তা কমে গেলেও, সেই দাগ থেকে যায় দীর্ঘসময়। তবে নিয়ম করে ত্বকের যত্ন নিলেই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া অবধারিত। কিভাবে মেটাবেন ব্রণর সেই দীর্ঘস্থায়ী দাগ? জানুন।

১) অ্যালোভেরা- অ্যালোভেরা যেকোনো ধরনের ত্বকের জন্য খুব উপকারী। এটি ত্বকের উপর আলাদাভাবে কোন ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে না। যদি একটি পাত্রে অ্যালোভেরার সাথে গোলাপ জল বা সাধারণ জল একসাথে মিশিয়ে সেটি মুখে দিনে দুই থেকে তিনবার লাগানো হয় তাহলে ত্বকের নানা সমস্যা দূর হবে। এটি লাগানোর পর ৩০ মিনিট রেখে দিতে হয়, তারপর মুখ ধুয়ে নিতে হয় ভালো করে। ব্রণর পাশাপাশি মেটায় ব্রণর দাগও। তাছাড়াও চোখের তলায় কালি পড়ার সমস্যাও দূর হয় অ্যালোভেরার গুনে। পাশাপাশি ফেরে ত্বকের উজ্জ্বলতাও।

২) বাদাম তেল- একটি ছোট বাটিতে পরিমান মত বাদাম তেল নিয়ে নিতে হবে। বাদাম তেল ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। এরপর ঐ তেলের বাটিতে একটি ভিটামিন-ই ক্যাপসুল দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে। রাতে শুতে যাওয়ার আগে সারা মুখে মেখে নিতে হবে। সারারাত এটি ত্বকে লাগানো থাকলে, তা নিঃসন্দেহে কাজ দেবে। ত্বক ফিরে পাবে আগের কোমলতা। অনেকটাই নির্মূল হবে ব্রণর দাগও। সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার এই প্রলেপ ত্বকে লাগানো উচিৎ।

৩) লেবু- লেবুতে ভিটামিন সি বর্তমান, যা যেকোনো ধরনের ত্বকে ওষুধের মতো কাজ করে। যার ফলস্বরূপ ব্রণর দাগের পাশাপাশি মেটে ত্বকের নানা সমস্যা। ত্বক ফিরে পায় নিজের স্বাভাবিক উজ্জ্বলতাও। পাশাপাশি শুষ্ক ত্বকে ফেরে আদ্রতাও।

৪) দই- দইয়ের অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল গুন ত্বকের নানা সমস্যা দূর করে। বিশেষ করে ব্রণর দাগের উপর এটি ভীষণভাবে কার্যকরী। দইয়ে বর্তমান ল্যাকটিক অ্যাসিড ত্বকের কোমলতা ও আদ্রতা বজায় রেখে স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনে।

৫) মধু- ব্রণর দাগ মেটাতে মধু অন্যতম একটি উপায়। এতেও অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল গুন বর্তমান। ব্রণর দাগের পাশাপাশি ব্রণর সমস্যাকেও নির্মূল করতে সহায়তা করে এটি। উল্লেখ্য, ওটমিলও ব্রণর দাগ কমাতে সহায়তা করে থাকে।

৬) মুলতানি মাটি: মুলতানি মাটির সাথে জল মিশিয়ে যদি ত্বকে লাগানো যায় তাহলে, তা মিটিয়ে দিতে পারে ত্বকের হাজারো সমস্যা। ট্যানের পাশাপাশি ব্রণর সমস্যাও মেটাতে পারে এই প্রলেপ। মুলতানি মাটি ত্বক মসৃণ করতেও সহায়তা করে থাকে।

৭) চন্দন: যেকোনো ধরনের ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে চন্দন অত্যন্তভাবে কার্যকরী, সেকথা অবশ্য আলাদাভাবে বলার অপেক্ষা রাখে না। কারণ সেই পুরনো আমল থেকেই ত্বকের নানা সমস্যা মেটাতে অনেকক্ষেত্রে চন্দনের ব্যবহার হয়ে আসছে। ব্রণর সমস্যা দূর করার পাশাপাশি ত্বকের চামড়া টানটান রাখতে ও ত্বকের কোমলতা বজায় রাখতে খুবই কার্যকরী এটি।

৮) গোলাপ জল: শুধুমাত্র গোলাপ জলও ত্বকের জন্য ভীষণ উপকারী। একটি তুলো কিংবা সুতির কাপড় দিয়ে ধীরে ধীরে সারা মুখে যদি প্রতিদিন দুই থেকে তিনবার লাগানো যায় তাহলে, তা ত্বকের কোমলতা ফিরিয়ে আনে। পাশাপাশি ত্বকের উজ্জ্বলতা বজায় রেখে দাগমুক্ত রাখে ত্বককে।

Exit mobile version