Follow us on Google news | Follow |
---|---|
Follow us on Facebook | Follow |
Join our WhatsApp Channel | Join |
Follow us on X | Follow |
Maruti Suzuki : ভারতের অন্যতম জনপ্রিয় গাড়ি প্রস্তুতকারক কোম্পানি। মারুতি সুজুকি। এখন অবশ্য আর মারুতি বলা যায় না, এখন শুধু সুজুকি। গাড়ির বিল্ড কোয়ালিটির নিয়ে প্রচুর সমালোচনা হয়। যারা গাড়ি বা অটোমোবাইল নিয়ে নাড়াঘাঁটা করেন, তারাও অনেক সময় সুজুকির গাড়ি সম্পর্কে অনেক সময় নেতিবাচক মন্তব্য করে থাকেন। কিন্তু তাতে সুজুকি কোম্পানির কোনও সমস্যা নেই। তারা ভারতীয় মার্কেটকে খুব ভালো করে বোঝে এবং জানে ইন্ডিয়ান মার্কেটের জন্য কীরকম গাড়ি লঞ্চ করা উচিৎ। এমনই একটি গাড়ি হল ওয়াগান আর। ভারতে লঞ্চ করার পর থেকে প্রায় কিংবদন্তির পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে।
সুজুকির গাড়ির দাম মধ্যবিত্তের সাধ্যের মধ্যেই সাধারণত থাকে। ওয়াগান আর-ও ব্যতিক্রমী নয়। ভারতীয় মুদ্রায় এই গাড়ির দাম ৬ লাখ টাকার আশেপাশে। আর মাইলেজ? এক কথায় লা জবাব। ৩৪ কিমি মাইলেজ দেয় এই গাড়িটি। বক্সি ডিজাইন এবং উন্নত ফিচার সহ এই গাড়ি রয়েছে বহু ভারতীয়র মনে। অনেকের হয়তো এটাই প্রথম কেন গাড়ি। তাই জড়িয়ে রয়েছে অনেক আবেগ।
বর্তমান ভারতীয় বাজারে এসইউভি সেগমেন্টের গাড়ি মানুষ খুব পছন্দ করেছে। আকারে বড় এবং বোল্ড লুকের গাড়ি মার্কেট ট্রেন্ডে রয়েছে। মাইক্রো এসিউভি সেগমেন্টে চর্চায় বেড়েছে সম্প্রতি। তবে যাই হোক না কেন, ভারতে সিটি করের বিকল্প নেই। তাই হাচব্যক গাড়ি এখনও গাড়ি বাজারের অনেকটা দখল করে রয়েছে। এপ্রিল মাসে হাচব্যক গাড়িগুলি আবারও দুর্দান্ত পারফর্ম করেছে, যার মধ্যে সুজুকির গাড়িগুলি সামনের সারিতে রয়েছে।
মারুতি ওয়াগনআর, অন্যান্য কোম্পানির আবারও অন্যান্য কোম্পানির গাড়িকে পিছনে ফেলে দিয়েছে। এপ্রিল মাসে এই গাড়ির মোট ২০,৮৭৯ টি ইউনিট বিক্রি করেছে কোম্পানি। সাধ্যের মধ্যে দাম এবং দুর্দান্ত মাইলেজের সঙ্গে স্ট্যান্ডার্ড ফিচার দিয়ে তৈরি মধ্যবিত্ত শ্রেণীর প্রথম পছন্দ হয়ে উঠেছে ওয়াগন আর।
সুজুকি ওয়াগন আর-এ রয়েছে ৭ ইঞ্চি টাচস্ক্রিন ডিসপ্লে, ৪ স্পিকার মিউজিক সিস্টেম, স্টিয়ারিং মাউন্টেড অডিও ও ফোন কন্ট্রোল এবং ১৪ ইঞ্চি অ্যালয় হুইল। সেফটি ফিচারের মধ্যে রয়েছে ডুয়াল ফ্রন্ট এয়ারব্যাগ, ইবিডি সহ এবিএস, রিয়ার পার্কিং সেন্সর এবং হিল হোল্ড অ্যাসিস্ট (শুধুমাত্র এএমটি মডেলের জন্য)। মারুতি সুজুকি ওয়াগনআর-এ, সংস্থাটি দুটি পেট্রোল ইঞ্জিনের অপশন চালু করেছে। একটি সংস্করণে ১.০ লিটার ক্ষমতার ইঞ্জিন রয়েছে এবং অন্য সংস্করণে ১.২ লিটার ক্ষমতার পেট্রোল ইঞ্জিন রয়েছে, ৫-স্পিড ম্যানুয়াল ট্রান্সমিশন গিয়ারবক্সের সাথে আসে। এই গাড়িটি সিএনজি ভ্যারিয়েন্টেও উপলব্ধ। গাড়িটি পেট্রোল ভ্যারিয়েন্ট ২৩.৫৬ কিমি এবং সিএনজি ভ্যারিয়েন্ট ৩৪.০৫ কিমি মাইলেজ দেয়।